বাঁ থেকে ইমরুল,জামিল,অপু ও অমিতোষ
কোভিড ১৯’র কারণে দীর্ঘ সময় ধরে , কর্মহীনতা হতাশা ও বিষন্নতা থেকে অনেকের মধ্যে আত্ন হননের কু-প্রবণতা লক্ষ্করা যাচ্ছে।
বিশেষ করে গত এক সপ্তাহে দেশে বেশ কিছু আত্মহত্যার খবর পাওয়াগেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪ বিশ্ববিদ্যালযের ৪ শিক্ষার্থী। যাদের ৩ জনই আলাদা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেএ আত্মহত্যাকারী ৪ শিক্ষার্থীরা
হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইমরুল কায়েস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের (সাবেক) মাসুদ আল মাহাদী (অপু)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদার। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) তাহমিদুর রহমান জামিল।
জানাযায় ২৩ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছায় গ্রামের বাড়িতে ফ্যানের সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রাবির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস।
এর আগে তিনি একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু মধ্যরাতে ক্যামেরা কিনতে যাওয়া যাবে না বলে মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এরপর ইমরুল দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগায়।
অন্যদিকে ২৩ সেপ্টেম্বর রাতেই পাবনা শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে তাহমিদুর রহমান জামিলের (২২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার মরদেহের পাশ থেকে ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই’ লেখা চিরকুট পাওয়া যায়।
জামিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে।
এ ছাড়া গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাসুদআল মাহাদী (অপু)
নামে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় ঢাকার চাঁনখারপুল এলাকা থেকে।সেখানে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় গ্রামের বাড়ির পাশের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদারের মরদেহ । তিনি গোপালগঞ্জ সদর থানার পাটিকেলবাড়ি ইউনিয়নের ভূপেন হালদারের ছেলে বলে জানাযায়।