চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন অনেকেই। ২৯ জুলাই +মঙ্গলবার) বিকালে এ ঘটনা ঘটে রাউজান–রাঙামাটি সড়কের হালদা সেতুর অদূরে সর্তারঘাট এলাকায়। সংঘর্ষে জড়িতরা হলো বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী।
গতকাল বিকালে রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদের কবর জেয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে অংশ নিতে সর্তারঘাট হয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর খোন্দকার। এ সময় গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে সর্তারঘাটে পৌঁছান গিয়াস কাদেরের অনুসারীরা। তখন স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘটনাস্থল।
সংঘর্ষ চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া গোলাগুলিও ও একে অপরকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান, গোলাম আকবর খোন্দকারের একটি পাজেরো ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া অগ্নিসংযোগ করা হয় তিনটি মোটরসাইকেলে। খবর পেয়ে রাউজান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসেন। গোলাম আকবর খোন্দকার দাবি করেন, তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে এবং গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
এ ঘটনায় রাতেই তার সকল পদ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। আর বিলুপ্ত করা হয় উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন গিয়াস কাদেরের অনুসারীরা। তখন গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীদের পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় গ্রুপ।