আজ ১৯ অক্টোবর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেসারাদেশে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলায় একই কর্মসূচির আয়োজন করবে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতারা সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকাও পরিদর্শন করবেন।
১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভা শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হনআওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
এসময় তিনি আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা প্রতিরোধ করার নির্দেশনা দেন এবং যেকোনো মূল্যে দেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন বিশ্বসভায় একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ঠিক এমন সময়ে একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করেছে সরকার । ইতোমধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে এবং অন্যদেরকেও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। সরকার পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এবং এই ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক, এস. এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী,ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।