দেশের সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “অনলাইন স্কুল” ব্যবস্থা চালু করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এছাড়াও যেসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই প্রয়োজনে সেসব এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখা হবে। ঝড়েপড়া রোধ এবং পিছিয়ে পড়াদের এগিয়ে নিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সার্বিক পরিকল্পনা চুড়ান্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানাযায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম জানান, দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন স্কুল চালু করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখা হবে। কোভিড ১৯’র কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই অনলাইন স্কুলের পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকা ও গ্রামের যেসব প্রতিষ্ঠান অনলাইন সুবিধা নিতে পারবে না তাদের জন্য বিকল্প পদ্ধতি রাখা হবে।
তিনি বলেন, অংকনসহ কিছু পাঠ্য রয়েছে যেসব পাঠ্যে ইন্টারেকশন প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শেখাবেন।
তিনি আরো বলেন, সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ টি করে ল্যাপটপ দেয়া আছে। এ বছর দেয়া হবে আরো একটি । একই সঙ্গে দেয়া হবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরও । এছাড়াও আগামী জুলাই মাসে ফার্নিচারও পৌঁছাবে।
এ সংক্রান্ত সার্বিক পরিকল্পনা আগামী শনিবারের বৈঠকে চুড়ান্ত করে নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য কোভিড ১৯’র কারণে গত বছর ৮ মার্চের পর থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যা আগামী মে পর্যন্ত থাকবে বলে জানাযায় ।