দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে
কারারুদ্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্ত বাতাসে আসলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম।
২৮ মে (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতা এটিএম আজহারকে সঙ্গে নিয়ে শাহবাগ মোড়ে শোকরানা সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হন ৯ টা ৪২ মিনিটে।
মঞ্চে পৌঁছে এটিএম আজহার প্রিয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে সালাম জানান। উপস্থিত সকলে সালামের জবারের পাশাপাশি আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। পরে এটিএম আজহারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। এর আগে মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেয় আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আপিল বিভাগের এ রায়ের মাধ্যমে মূলত জামায়াত নেতা এটিএম আজহার শেখ হাসিনার জুডিসিয়াল কিলিংয়ের নিশ্চিত মৃত্যু হতে বেঁচে ফিরে আসেন।
২০১২ সালের ২২ অগস্ট তাকে মুক্তিযুদ্ধের সময় কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর ঠিক দু’বছর পর ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাজানো মামলায় তাকে দেয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেছিল।