মাওলানা আবু হামিদ মোহাম্মদ আশিকুল্লাহ
আমরা বছরের সেরা মাসের সেরা দশকে প্রবেশ করেছি। যে দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লায়লাতুল ক্বদর তথা মহিমান্বিত ভাগ্য রজনী ও তার অসংখ্য অগণিত ফজিলত অনুসন্ধান করতে রাসূলুল্লাহ (স.) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। যে রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে রাতে ফেরেশতারা আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে প্রশান্তি নিয়ে আসেন। অহর্নিশি রহমাহ ও বারাকাহ অবতীর্ণ হতে থাকে। এই রাতে আগামী একবছর এর ভাগ্য নির্ধারিত হয়, কে জীবিত থাকবে আর কে মারা যাবে, কে মুক্তি পাবে আর কে ধংস হবে, কে সৌভাগ্যবান হবে আর কে হবে হতভাগা? এ রাতে কিয়াম (রাতের সালাত) ও তাওবার মাধ্যমে মুমিন বান্দা তার বিগত জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ পেয়ে যায়।
এই রাতের ফজিলত পেতে রাসূলুল্লাহ স. সুদৃঢ় নিয়ত ও প্রস্তুতি নিতেন, পরিবারের সদস্যদের জাগিয়ে দিতেন এবং সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকতেন। এমনকি টানা দশদিন দশরাত মসজিদে আবদ্ধ থাকতেন।
আসুন, আমরাও ই’তিকাফ, তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ, কুরআন তিলাওয়াত, মাসনুন যিকর ও দু’আর মাধ্যমে এই রাতের ফজিলত পেতে সচেষ্ট হই।
অনেকেই বিভিন্ন কারণে সারারাত জাগ্রত থাকতে পারিনা। হাদীসে কিছু আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতে সারারাত ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
১. ঈশা ও ফজরের সালাত জামায়াতে আদায় করা।
২. রাতের কোনো অংশে ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করা।
৩. রাতের কোনো অংশে দ্বীনি ইলম অর্জন করা ও আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় পাহারা দেয়া।
৪. ইমামের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিয়ামুল্লাইল আদায় করা।
তাই আসুন শিরক, হিংসা, পরনিন্দা, জুলুম ও অশ্লীলতা সহ যাবতীয় গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে হাত তুলি। আর বেশি বেশি পড়ি
اللهم انك عفو كريم تحب العفو فاعف عني