নিজেদের কৃষি জমিতে অবৈধ বালি রাখার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ৭ জন কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন ভাবে আরো কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে চট্টগ্রামস্থ সাতকানিয়া চরতী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড উত্তর তুলাতলীতে্ এ ঘটন ঘটে । গুলিবিদ্ধ ৭ জনকেচমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বেভারী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছিল। আর এ সব বালি স্থানীয় কৃষকদের জমিতে রাখা হতো ।
দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমিতে এভাবে বালির স্তূপ করে রাখায় নিজেদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছিলেন না বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে বারবার অভিযোগ করা সত্বেও তাতে কর্ণপাত করেননি সংশ্লিষ্টরা।
সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা ছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি)।
নিজেদের অভিযোগ জানাতে সকাল থেকে নদীর পাড়ে জড়োহতে থাকে শত শত কৃষক। এই সময় বালি উত্তোলনকারীদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হঠাৎএকদল সন্ত্রাসী কৃষকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
এতে গুলিবিদ্ধ হন, স্থানীয় হাজী ফজর আলীর পুত্র আব্দুল মালেক (৫০), মৃত বশরত আলীর পুত্র মো. নুরুল হাসান (৫০), মৃত মনিরুজ্জামানের পুত্র ফয়েজ আহমদ (৬২), মৃত আবুল হাশেমের পুত্র আবু তাহের (৩৮), মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র মো. কাউছার (২৬), মৃত হাজী আবদুস সালামের পুত্র রুহুল আমিন (৬০), ও ফয়েজ আহম্মদের পুত্র মো. মানিক (২০)কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও আহত হয়েছেন,শফিকুর রহমানের পুত্র জিয়াউর রহমান (১৯), হাজী মৃত বদরুজ্জামানের পুত্র মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সিরাজুল ইসলাম (৪৫), বদিউর রহমান (৪০), হাফেজ আহমদ (৫৬), এয়াকুব হোসেন (৫৫), মুহাম্মদ রুবেল (২১), শাহেদুল ইসলাম (২০), মো. রিপন (১৮)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্রেজানাযায়, সাতকানিয়ার চরতী থেকে গুলিবিদ্ধ ৭ জনকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এদের মধ্যে ৬ জনকে ৫ম তলার ২৭ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে এবং ১ জনকে ৪ তলার ২৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে নুরুল হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক ।