সকল গ্রুপ অফ কোম্পানীর নেপথ্য অনুসন্ধান জরুরী : কাবেরী


hudhudbd.com
বাংলা চ্যানেল
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২১

(বাংলাদেশের সকল গ্রুপ অফ কোম্পানির, কোম্পানী হওয়ার নেপথ্য অনুসন্ধান জরুরী। বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচন, আনভীরের গ্রেফতার দাবী ও মুনিয়াসহ ক’দিন আগে এসআলম গ্রুপ পরিচালিত  বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক হত্যার বিচার চাই।)

সায়েম সোবহান আনভীর। আমার একজন ফেইসবুক বন্ধু। অত্যন্ত মেধা ও দূরদৃষ্টির জন্য পিতার ব্যবসার কান্ডারী হয়েছেন। সারা পৃথিবীর সাথে এই গ্রুপের লেনদেন। জনাব আনভীরের পেইজটি আমি নিঃসন্দেহে ট্যুর করতাম হঠাৎ কিঞ্চিৎ। বসুন্ধরার বিভিন্ন বিষয়ে নানা মিডিয়া গুন্জন পেলেও শ্রদ্ধা করেছি তাদের অদম্য সাহসের।

তাদের অসম ধনদৌলত, শৌখিনতা , দক্ষতা, ব্যবসায়িক দূরদর্শিতা সবকিছুই নজরে এসেছে। এই পরিবারের বাড়ির সম্মূখে যাওয়ার ও আমার সুযোগ হয়েছে। মনে হয়েছে দূবাই এর বুর্জ খলিফা, কিংবা সুলতান বাড়ির অন্যতম অংশ। অসাধারণ! আমি জনাব আনভীরের পেইজটিতে দেখেছি অনেক ধনাঢ্য পরিবেশের মাঝেও সবসময় একত্রিত একটি যৌথ পরিবারের প্রতিচ্ছবি।

কখনো মা বাবার বিবাহবার্ষিকী, কখনো স্ত্রীর সাথে রাতের ইস্তাম্বুলে,কখনো প্রিয় সন্তানের সান্নিধ্যে। ভালো লাগতো এতো ধনসম্পদের মাঝেও সুন্দরী স্ত্রীর পাশে একান্ত ছবিগুলো। তারা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি বলেই একটু খেয়াল করতাম। গত তিনদিন আগে উনার শেষ পোষ্টে, পেপারের একটি পেজ উনি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে উল্লেখ করা ছিল-

“Sayem sobhan: A man who sees into the future and envisions possibilities that others can not yet see.”

অর্থ হলো, সায়েম সোবহান যতটুকু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে দৃষ্টি রাখেন সেটি আর কারো দ্বারা সম্ভব নয়! গত দুইদিন ধরে দেখছি তিনি আসলেই দূরদর্শী ব্যবসায়ী, কিন্তু মানুষ নন।

ইসলামে বিয়ে করবার বিধান ছিল । তিনি তা অতি সহজেই করতে পারতেন। আধুনিকতা আসলে আমাদের সেকেলে নিয়ে গেছে। আগের যুগে স্ত্রীর সামনেই স্বামী দেহভোগ করতো গৃহপরিচারিকার। এখনও সমাজের রন্ধ্রে  রন্ধ্রে মানুষের চারিত্রিক অনৈতিকতা বিরাজমান।

ঔরসজাত ইসু নস্ট করবার নিয়মটি একধরনের বিধিসম্মত হয়েছে। নিজ শ্যালিকার সাথেও গর্হিত কাজ করছে কেউ কেউ। অনেক উচ্চ স্তরের ব্য্যক্তিরা মহিলাদের উচ্চ বৃত্তির লালসায় রাখেন। আশ্চর্য যে, এ ফাঁদে পা দেয় মুনিয়াদের মতো সুন্দরী কিশোরীরা ।

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা এই বয়সে তিন সন্তানের পিতার সাথে গুলশান বনানীর মতো এলাকায় রাত কাটানোর ধৃষ্টতা কিভাবে পায় আমার অবাক লাগে! জনাব আনভীর এতোটা অদূরদর্শী হয়ে মেয়েটির সাথে সম্ভোগ ও  যে ভাষায় মেয়েটির সাথে আচরণ করেছেন তাতেই বোঝা গেছে পারিবারিক শিক্ষা কতোটা জরুরী ছিল।

অবশ্যই একজন রিকশাওয়ালা অথবা ভিখারী, পারিবারিক শিক্ষা না পেয়েও কতটুকু মানবিক হন আমরা সে নজির ও দেখেছি। এর আগে আমরা দেখেছি, কেডিএস  নামক এক গ্রুপের মালিক, চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতির সন্তান এক নারীর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে  গত বিশবছর জেলান্তরীন থাকবার দৃষ্টান্ত রয়েছে।।তাদের প্রচূর থাকবার পরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মুক্তি মেলেনি।

সীমা লঙ্ঘনকারীদের সম্পর্কে ইসলামী স্কলাররা বলেন,

“আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয়না।”

আমাদের উচিত অর্থনৈতিক উৎস স্থল পরিষ্কার রাখা। অতিরিক্ত লোভে না জড়ানো এবং যথাযথ পন্থায় স্ব স্ব ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসারে জীবন যাপন করা। চলুন, সংযম সাধনে মানুষের বসবাস উপযোগী একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ি ।

সায়েমসহ সকল অপরাধীর বিচার হবেই ইনশা আল্লাহ ।

লেখিকা:

নাজনীন সরওয়ার কাবেরী

সাংগঠনিক সম্পাদক কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ

 

শেয়ার করুন

Facebook Twitter Whatsapp

বিজ্ঞাপন
ফেসবুকে বাংলা চ্যানেল
এ সম্পর্কিত আরও খবর

বজায় থাকুক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১
  • বাংলা চ্যানেল

ছিনতাই সমাচার

  • ১২ অক্টোবর, ২০২১
  • বাংলা চ্যানেল

আলেমদের জানাজা যেন তাদের সফলতার সাক্ষ্য

  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • বাংলা চ্যানেল

নিউজ কর্নার
Banglachannel বাংলা চ্যানেল

সম্পাদক : সাইফুল্লাহ মুসলিম
বিএ টাওয়ার ৫ম তলা, দেওয়ানহাট
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ।

বাংলা চ্যানেল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত