শরীফ উদ্দিন আহমেদ (সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকারী কলেজ, সিলেট)
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা কাম্য নয়। কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা সরাসরি উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া পরিহার করে সবাইকে ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে সবাইকে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যক্তি জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানাই। মহানবি (সা.) এর সময়ে নির্দেশনা ছিল, কোনো ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তিই অপরাধী হবে, এর জন্য একটি সম্প্রদায়ের মানুষ অপর একটি সম্প্রদায়ের মানুষের উপর সম্মিলিতভাবে হামলা করা যাবেনা।
পূজার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা সবাই মিলে কুরআন শরীফ সেখানে রাখার কথা নয়! আমরা সেটা বিশ্বাস করতে পারিনা। নিশ্চয়ই কোনো একজন বা কোনো একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগানোর জন্যই এ গর্হিত কাজটি করে থাকতে পারে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যে থাকতে পারে না সেটাও বলা মুশকিল। নিজের সন্তানকে খুন করিয়ে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ইতোপূর্বে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হওয়া পর্যন্ত বুঝা কঠিন। এখন সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো ওই চক্রটিকে যেকোনো মূল্যে শনাক্ত করে জাতির সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করা। ইতোমধ্যে মাননীয় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশাকরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে দ্রুতই প্রকৃত ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট না করে সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া একান্ত প্রয়োজন।