ধনকুবের মুসা বিন শমসেরকে (প্রিন্স মুসা) জিজ্ঞাসাবাদ করবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ভুয়া অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পরিচয় দেওয়া আব্দুল কাদের চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে ।
আজ ৯ অক্টোবর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর) যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মুসা বিন শমসেরের নানা ব্যবসায়িক সম্পর্কের চুক্তিপত্রসহ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। এমনকি মুসা বিন শমসেরের একটি প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক এবং প্রতারণার সঙ্গে মুসা বিন শমসেরের কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না-তা জানতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জানাযায়, প্রিন্স মুসার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাডভাইজার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন আব্দুল কাদের। তার প্রতিষ্ঠানে শমসেরের একাধিক ছবিও টাঙানো রয়েছে।
জানাযায়, আব্দুল কাদের চৌধুরীর আসল নাম, আব্দুল কাদের মাঝি । নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ভূমিহীন এক কৃষক পরিবারে তার জন্ম । বাবা জীবিকার সন্ধানে পাড়ি জমিয়েছিলেন সন্দ্বীপে।
সেখানে জীবিকা উপার্জন করতেন মাছ ধরে ও মাঝির কাজ করে। এমন ভূমিহীন ভাসমান আব্দুল কাদেরের রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে, নিজেকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পরিচয় দিতেন।
অথচ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা মাত্র ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত। নিজের এক কোটি ২০ লাখ টাকার প্রাডো গাড়িতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতেন তিনি।
দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আব্দুল কাদের হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
উল্লেখ্য৭ অক্টোবর মিরপুর ৬ নম্বরে বাসা থেকে বাইরে যাওয়ার সময় নানা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন তিনি।