নির্বাচনে জনসভা-পথসভা নিষিদ্ধের দাবি


hudhudbd.com
বাংলা চ্যানেল ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই, ২০২৫

প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি

জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন সড়ক, মহাসড়ক ও জনপথে জনসভা কিংবা পথসভা করতে পারবেন না।

নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০২৫-এর খসড়া মতামতে বিএনপি

এ প্রস্তাব যুক্ত করার সুপারিশ করেছে ।

নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করার পক্ষে মত দিয়েছে এনডিএম। এছাড়া নির্বাচনি প্রচারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রার্থীদের প্রচার শুরুর আগে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করার বিধানটি আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছে টিআইবি।এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না- ইসির এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, কোনোভাবেই পোস্টারবিহীন নির্বাচন কাম্য নয়। তবে পোস্টার লাগানোর ক্ষেত্রে আচরণবিধি থাকতে পারে।  এছাড়া প্রস্তাবিত পিভিসি ব্যানার ব্যবহার না করা-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছেন তিনি।

নির্বাচনি প্রচারে শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে প্রার্থীদের প্রচার শুরুর আগে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করার বিধানটি আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে ও পরবর্তীতে প্রতি বছর নিজের ও পরিবারের সদস্যদের আয় ও সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। তা এক মাসের মধ্যে ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার বিষয়টি আচরবিধিতে যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

কোনো প্রার্থী তার নির্বাচনি এলাকায় কোনো ধরনের আর্থিক বা বৈষয়িক লাভের নিমিত্তে কোনো ভোটার বা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি কিংবা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।

ইসির উপসচিব মো. মুনীর হোসাইন খান মতামত দিয়েছেন

পরিবেশদূষণ রোধে ব্যানারের পাশাপাশি ডিজিটাল শব্দ যুক্ত করার পক্ষে। কবি ও কলামিস্ট লায়ন মো. কামাল উদ্দিন নির্বাচনে প্রার্থীদের রাস্তায় মিছিল, মাইক বাজানো, সভা-সমাবেশ, মশাল মিছিল, মোটর শোভাযাত্রা আইন করে বন্ধের সুপারিশ করেন।

রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় বিএনপি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও এনডিএমসহ ছয়টি রাজনৈতিক দল মতামত দেয়। তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, জাতীয় পার্টি-জাপা, গণঅধিকার পরিষদ ও নাগরিক ঐক্যসহ নিবন্ধিত বেশিরভাগ দল অংশ নেয়নি। এছাড়া দুটি এনজিও, পাঁচজন আমলা, একজন প্রবাসীসহ ৯ জন সাধারণ মানুষ মতামত দিয়েছে ইসির খসড়ায়।

গত সোমবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ মতামতসংক্রান্ত প্রস্তাবনা অনুমোদন দেন। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে এ খসড়া মতামত নিয়ে সভা হয়। দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ মতামতগুলো সংযুক্ত করে এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

সুপারিশ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২২টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মেজর (অব.) আবদুল মান্নান আটটি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন ছয়টি, বাংলাদেশ রক্ষণশীল দলের মহাসচিব খায়েজ আহম্মেদ ভূঁইয়া তিনটি, সম্মিলিত গণতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান গাজী মোস্তাফিজুর রহমান পাঁচটি এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ প্রেসিডেন্ট এসএম আবুল কালাম আজাদ তিনটি মতামত জানিয়েছেন।

একই ভাবে দুই এনজিও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ২০টি সুপারিশ ও ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইইডি) নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান পাঁচটি, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ১৩টি, সাবেক অতিরিক্ত সচিব একেএম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী একটি, ইসির উপসচিব মো. মুনীর হোসাইন খান ছয়টি, কবি ও সাহিত্যিক লায়ন মো. কামাল উদ্দিন একটিসহ আরো অনেকে দিয়েছেন তাদের  মতামত ।

জনসংযোগসংক্রান্ত প্রস্তাবে সংসদ সদস্যের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি এবং নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ, সাক্ষাৎ বা পরিচিত হওয়ার সঙ্গে প্রচারমূলক কার্যক্রম সন্নিবেশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগেুলোর সঙ্গে সংলাপ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা ও নির্বাচনি প্রচারের জন্য প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগের জন্য অনধিক তিনটি জনসভা করার বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আচরণবিধি থেকে যান্ত্রিক ও জনসভা শব্দ দুটি বাদ দেওয়া এবং একটি দলের শীর্ষ দুজনের (দলীয় প্রধান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান, মহাসচিব) হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহারের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেছে বিএনপি।

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না অন্তর্ভুক্ত করা এবং নির্বাচনি প্রচারে ১৮ বছরের নিচে কেউ অংশ নিতে পারবে না তা যুক্ত করা। নির্বাচনে বিলবোর্ডের ব্যবহার পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় সংসদীয় আসনের নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর ছবিসংবলিত বিলবোর্ড স্থাপনের সুপারিশ করেছেন এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন।

বাংলাদেশ রক্ষণশীল দলের মহাসচিব খায়েজ আহম্মেদ ভূঁইয়া সুপারিশ করেছেন, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীতি প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তিকে খারাপ মন্তব্য করতে পারবে না। নির্বাচেনের দিন ভোটাররা ভয়ভীতিহীনভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে যাতে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছেন বিএনএফের এসএম আবুল কালাম আজাদ।এছাড়া নির্বাচনি ব্যয়সীমা ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত করা,১০ হাজার টাকার বেশি ব্যয় হলে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করার সুপারিশ করা হয়েছে নতুন প্রস্তাবে।

শেয়ার করুন

Facebook Twitter Whatsapp

বিজ্ঞাপন
ফেসবুকে বাংলা চ্যানেল
এ সম্পর্কিত আরও খবর

নিউজ কর্নার
Banglachannel বাংলা চ্যানেল

সম্পাদক : সাইফুল্লাহ মুসলিম
বিএ টাওয়ার ৫ম তলা, দেওয়ানহাট
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ।

বাংলা চ্যানেল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত