খেজুর পুষ্টিগুণে ভরা একটি মজাদার খাবার । মুসলমানদের খুবই প্রিয় এ খাবার। বিশ্ব নবী (স:)’র খাবারের তালিকায় খেজুর ছিল অন্যতম। তাই রোজা এলে ইফতারের সময় এটির কদর বেড়ে যায় রোজাদারদের নিকট।
ভেষজ ও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে খেজুরে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদারদের পুাষ্টর ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখে এটি।
জানাযায় শারিরীক সৌন্দর্য বর্ধন ও যৌবন ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখে খেজুর । ত্বক ও চুলের জন্য মহৌষধ’র মত কাজ করে এটির পুষ্টিগুণ ।
খেজুরের রয়েছে আমিষ, শর্করা , পানি , খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ও কিছু পরিমাণ সি ফলিক অ্যাসিড প্রোটিন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও সলফার।
রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে শরীরে যে পরিমাণ গ্লুকোজের ঘাটতি তৈরী হয় খেজুর সে ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে থাকে। তাই খেজুরকে ইফতারের প্রতিদিনের তালিকায় বাধ্যতামূলক রাখা দরকার।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে খেজুরের রয়েছে আরো বহুমাত্রিক উপকারিতা । যেমন:
১. খেজুর শরীরে রক্ত উৎপাদন করে ।
২.খাবারের রুচি বৃদ্ধি করে ।
৩. দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় ।
৪. এতে আছে ডায়েটরই ; যা কোলেস্টরল থেকে মুক্তি দেয়।
৫. হজম শক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তি বর্ধক।
৬. এটি স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে ।
৭. খেজুর দুর্বলতা দূর করে থাকে ।
৮. হৃদরোগীদের জন্য ভালো কাজ দেয়।
৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
১০. ফুসফুসের সুরক্ষায় মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে।