ড.তৃপ্তি কুণ্ডু রায়
অন্য আগামী
কখনো দেখেছো তুমি-মৃত্যু মিছিল হেঁটে যায় পৃথিবীর পাড়ায় পাড়ায়?
কখনো শুনেছো তুমি-নিষ্ঠুর রাষ্ট্র- নির্দেশ বেহিসেবি কফিন বানায়?
কখনো ভেবেছো তুমি-স্তব্ধবাক প্রহরেরা আঁতকে ওঠে মৃত্যু যন্ত্রণায়?
কখনো রেখেছো হাত-অসুস্থ পৃথিবীর জ্বরে পোড়া তপ্ত গ্রীবায়?
কখনো দেখোনি তুমি-এতো শান্ত শিষ্ট সবুজাভ নীল গ্ৰহটাকে।
কখনো দেখোনি তুমি-পৃথিবীর সিগন্যাল জনহীন, পিন ড্রপ সাইলেন্ট থাকে।
কখনো শোনোনি তুমি-শহরের কংক্রিটে টুপটাপ ঝরে পড়া কোকিলের সুর,
কখনো ভাবোনি তুমি-কল্লোলিনী ঠিক যেন আগেকার সুতানুটি গোবিন্দপুর।
কখনো দেখবে তুমি-সৈনিক হেঁটে যায় শান্ত পায়ে ভায়োলিন হাতে,
কখনো জাগাবে তোমায়-ময়ূরের কত্থক-কথাকলি যুদ্ধহীন প্রাতে।
কখনো শুনবে তুমি-নয় গুলি কার্তুজ ,রনাঙ্গনে নির্ভয়ে ওড়ে প্রজাপতি,
কখনো দেখবে তুমি-রেডরোডে হরিণীরা মিটিমিটি হেসে হেসে করে ছোটাছুটি।
কখনো জাগবে আবার-ফুলে ফুলে ছয়লাপ সূর্য রাঙা বাতাসিয়া ভোর,
কখনো দেখবে তুমি-জ্বরহীন পৃথিবীই নিজ হাতে খুলে দেবে পূবালীর দোর,
কখনো দেখবে তুমি-সবুজের ওড়নায় নববধূ আমাদের সসাগরা ধরা,
কখনো শুনবে তুমি-সংহতি-গান গায় একতানে বিশ্বের সবকটি পাড়া।
তখনই জাগবে দেখো-সময়ের অভিশাপে আহা! ওই- অহল্যা পাষাণী,
তখনই জাগবে দেখো-মানুষের হৃদয়ে সুমঙ্গল বিবেকের বাণী,
তখনই জাগবে জোয়ার-অচল-অনড় হওয়া স্তব্ধবাক রুদ্ধশ্বাস পৃথিবীর তীরে,
তখনই গাইবে গান-লাল পাখি,নীল পাখি ভয় ভুলে আমাদের পৃথিবীর নীড়ে।